শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

আপডেট
জবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে সরস্বতী পূজা উদযাপিত

জবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে সরস্বতী পূজা উদযাপিত

জবি প্রতিনিধি:

নানা আয়োজনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহা-উৎসব সরস্বতী পূজা। ৩৩টি বিভাগ, ২টি ইনস্টিটিউট ও ১টি ছাত্রী হলসহ মোট ৩৬টি মণ্ডপে উদযাপিত হচ্ছে এ পূজা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দিনব্যাপী চলছে এসব আয়োজন।

এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকেই মণ্ডপগুলোতে পূজা দেখতে ভিড় করে দর্শনার্থীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, পূজা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ঢাকের তালে আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। মণ্ডপগুলোতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বিদ্যার দেবী সরস্বতীর সামনে প্রার্থনা করছেন। অনেকে প্রসাদ গ্রহণ করছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীদের তাদের হিন্দু বন্ধুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমন্বয়ে জ্ঞাননির্ভর এক অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা করাই এ পূজার লক্ষ্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে সকল অন্ধকার দূরীভূত হয়ে আলোর পথ প্রসারিত হবে।

গণিত বিভাগের মণ্ডপে পূজা করতে আসা শিক্ষার্থী তিথী রায় বলেন, ‘সকাল থেকেই পূজার আমেজে আনন্দ লাগছে আর ক্যাম্পাসেও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আমাদের সকলের বিদ্যা এবং জ্ঞান যেন আরও বৃদ্ধি পায় দেবীর কাছে সেটাই প্রার্থনা করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ‘সরস্বতী পূজার মাধ্যমে অন্ধকার থেকে আলোতে যাত্রার প্রার্থনা করা হয়ে থাকে। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সারা বিশ্বের অন্ধকার দূরীভূত হবে এবং আলোকিত মানুষ হিসেবে গিড়ে উঠার জন্য প্রার্থনা করা হয় এদিন। আমার আড়ম্বরপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’

দিনব্যাপী এ আয়োজনে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘সুন্দরভাবে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। সার্বিক নিরাপত্তায় জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও পুলিশ বাহিনী কাজ করছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। আমাদের সবাইকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা ক্যাম্পাসকে অসাম্প্রদায়িক করে তুলব।’

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |